পদ্মা সেতুর অব্যবহৃত জমিতে দুগ্ধ উৎপাদনে ফার্ম স্থাপন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ৭ কার্তিক (২৩ অক্টোবর) : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে আজ বনানীস্থ সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অব্যবহৃত জমিতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রেজাউল হায়দার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে এমএন্ডকিউ পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মামুন অর রশিদ স্বাক্ষর করেন।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ৫, ৬, ১২ এবং ১৩ নং ব্লকে সর্বমোট ২১৫৮ দশমিক ৫৩ একর জমি ব্যবহারের অধিকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার পর (প্রাথমিকভাবে ১২ এবং ১৩ নং ব্লক) তাতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে। উক্ত প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার প্রাণীর একটি ডেইরি ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিদিন আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার লিটার দুগ্ধ উৎপাদন করা হবে। গরুর ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজার কেজি গরুর মাংস উৎপাদিত হবে। এছাড়া কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করে ষাঁড় গরু, ষাঁড় মহিষ এবং পুরুষ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সীমেন কৃত্রিম উপায়ে সংগ্রহ করে ফ্রোজেন করা হবে যা পরবর্তীতে অন্যান্য মিলিটারি ফার্ম এবং কৃষক ও খামারিদের নিকট স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হবে।
সার্বিকভাবে ডেইরি, বিফ, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ও মহিষ ফার্ম এবং ব্রিডিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে মানসম্মত দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফার্মটি স্থাপিত হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং সর্বোপরি জাতীয় উৎপাদনে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা সম্ভব হবে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদাউস, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-সহ সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।