পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন করতে হবে—-ডাক ও টেলিযোগাযো মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। স্মার্ট নাগরিক কিংবা স্মার্ট সমাজ দক্ষ মানবসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষা মানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা। তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য শিক্ষার আমূল পরিবর্তন ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি মিলনায়তনে একাডেমির ১৯৩ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণকারীদের সাথে আয়োজিত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বিসিএস ৩৮তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষা ক্যাডারের প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষার আমূল পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই মেধাবী। তারা যে কোনো জটিলতা ধারণ করতে সক্ষম। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। মন্ত্রী বলেন, এখনকার যুগে বাস করে কেউ যদি কোনো ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে না পারে তবে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের পাঠ দানের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। আরো এক হাজারটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ চলছে।
মন্ত্রী দেশের দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ দানের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যেসব স্কুলে কম্পিউটার আছে সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্বের যেকোনো মানদণ্ডকে তারা অতিক্রম করতে পারবে।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক শাহ মোঃ আমির আলীর সভাপতিত্বে একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. নিজামুল করিম বক্তৃতা করেন। মহাপরিচালক প্রিন্টিং শিল্পে কম্পিউটার সংযুক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার প্রবর্তন এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে মোস্তাফা জব্বারের অবদান তুলে ধরেন।