প্রধান মেনু

নৌপথে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে– নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌপথে যাত্রীদের চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। গণপরিবহণে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহণের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। করোনার সময়ের জন্য লঞ্চের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও স্টীমারসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবহণ সেক্টরে মানুষের সেবার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। নতুন নতুন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ পরিবহণে যুক্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি আরো বাড়বে। সকলের প্রচেষ্টায় নৌপরিবহণ সেক্টরে সফলতার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর  মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক  উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত গাইডলাইন/স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদের পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১১ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দিনের বেলাও সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে এবং কোনো ক্রমেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ করা যাবেনা। স্টিমার/লঞ্চ/স্পিডবোট হতে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।

এছাড়া, সকল যাত্রীবাহী নৌযানে সদরঘাটে ঈদের আগে পাঁচ দিন মালামাল/মটর সাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে অন্যান্য নদী বন্দর হতে আগত নৌযানে পাঁচ দিন মালামাল/মটর সাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত এবং সদরঘাট টার্মিনাল ও লঞ্চসমূহ হকারমুক্ত রাখতে হবে। ঈদের পরে ফিরতি যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সদরঘাট টার্মিনালের সম্মুখস্থ রাস্তা হতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে মধ্যরাতের পর থেকে মিনিবাস, লেগুনা, অটোরিক্সা ও টেম্পোসমূহ এলোমোলোভাবে অবস্থান না করে নির্ধারিত স্ট্যান্ডে পার্কিং নিশ্চিত করতে হবে।

নৌপথে চলাচলকারী সকল যাত্রী সাধারণকে যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হট লাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।