প্রধান মেনু

নোয়াখালীর চাটখিলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

গাজী রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী শাহ আলম (৬০) হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ধসঢ়;ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ইয়াছমিন (৩৮) ও তার ছেলে ইয়াছিন আরাফাত শান্ত (২১)কে পুলিশ আটক করার পর, তারা আদালতে সংগঠিত হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং এ পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ইয়াছমিনকে দীর্ঘ দিন থেকে একই এলাকার বাসিন্দা নিহত ব্যবসায়ী শাহ আলম মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিরক্ত করতো। বিষয়টি ইয়াছমিন তার ছেলে শান্তকে জানালে, শাহ আলমকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়াছমিন গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় শাহ আলমকে তার বাড়ীতে আসার জন্য বলে। তখন নিহত শাহ আলম ইয়াছমিনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে কুলশ্রী গ্রামের আবুল কালামের দোকানে সামনে আসলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ইয়াছমিনের ছেলে শান্ত ও তার বন্ধু নিহত শাহ আলমকে আটক করে দোকানের পিছনে নিয়ে যায়।

সেখানে কাঠের টুকরো দিয়ে ঘাঁড়ে আঘাত করলে শাহ আলম ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে, তারা সেখানে মৃত শাহ আলমকে রেখে চলে আসে। সকালে স্থানীয় লোকজন শাহ আলমের মৃত দেহ দেখে চাটখিল থানা পুলিশকে খবর দেয়। চাটখিল থানা পুলিশ মোবাইলের ট্র্যাকিং করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ইয়াছমিন ও শান্তকে আটক করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খান ও মুশফিকুল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেন উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে শাহ আলম (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শাহ আলম ওই গ্রামের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে।