নেতিবাচক রাজনীতির কারণে সবাই বিএনপি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন — তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৮ নভেম্বর) : ‘নেতিবাচক রাজনীতির কারণে সবাই বিএনপি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন’, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা শুনেছেন বিএনপি থেকে সবাই চলে যাচ্ছে। মোর্শেদ খান ও মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। আরো অনেকে পদত্যাগ করবেন বলে নাম শোনা যাচ্ছে। এর কারণ নেতিবাচক এবং জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি। আর দূর থেকে স্কাইপির মাধ্যমে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার ফল হচ্ছে গণহারে দল ত্যাগ। মোর্শেদ খান (বিএনপির দু’বারের মন্ত্রী) নিজেই বলেছেন, বিএনপি এখন জাতীয়তাবাদী স্কাইপি দলে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা আমার বক্তব্য নয়।’ আজ রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সসমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী বিরোধীদল চাই। আমরা চাই বিএনপি একটি শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে সংসদে এবং সংসদের বাইরে থাকুক। কিন্তু যেভাবে তাদের নেতারা দল ত্যাগ করছেন, এতে মনে হচ্ছে আমরা চাইলেও তারা শক্তি ধরে রাখতে পারছেন না। ক্রমাগত শক্তি ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও হওয়া উচিত বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। ‘আমরা চাই, আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সমালোচনা করুক, বিএনপি একটি শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে সংসদে এবং সংসদের বাইরে থাক’, বলেন তিনি। এদিকে শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বিপুল জনসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়ানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রিতে ইন্টার্নশিপে কারিগরি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে পাস করে দক্ষ হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি মানুষ কাজ করছে। বাংলাদেশ একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। সেখানে আমাদের দেশে দু’টি শ্রেণিতে কয়েক লাখ বিদেশি কাজ করছে। একটি হলো শীর্ষ নির্বাহীতে, আরেকটি হলো দক্ষ জনশক্তিতে। এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। কারণ আমাদের দেশের যেসব খাতে বিদেশিরা কাজ করছে, সেসব খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিল্পায়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের যোগান দিতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার জন্য বঙ্গবন্ধু আমাদের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেই দিকনির্দেশনা তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সকালে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে গণপ্রকৌশল দিবস এবং আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী। পরে আইডিইবি থেকে র্যালি বের হয়ে প্রেসক্লাবের অভিমুখে যাত্রা করে। উল্লেখ্য, আইডিইবি’র উদ্যোগে ‘লার্নিং বাই ডুয়িং হোক শিক্ষার ভিত্তি’- এই স্লোগানে ঢাকা-সহ সারা দেশে উদযাপন করা হচ্ছে গণপ্রকৌশল দিবস-২০১৯।