প্রধান মেনু

নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা একটি বড় মাইলফলক  -গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :  গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উত্তরণে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে অন্যতম একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। উপরন্তু পিছিয়ে পড়া এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের ক্ষমতাও প্রদান করা হয়েছে রাষ্ট্রকে।

মন্ত্রী গতকাল ময়মনসিংহের ভাটিকেশরে কারিতাস ময়মনসিংহ জোন আয়োজিত ইন্ডিজেনাস নেভিগেটর প্রকল্পের পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শরীফ আহমেদ আরো বলেন আমাদের সংবিধানে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের কথা বলা আছে। এর অংশ হিসেবে সরকার ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসমূহ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকার সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতার আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষণসহ নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।

২০৩০ সালের মধ্যে নির্ধারিত জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য অনেকটা হ্রাস পাবে। সেক্ষেত্রে সমাজের পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকজন সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেনিটেশনসহ সকল নাগরিক সুবিধালাভের পথ সুগম হবে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সূচকেও তাদের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। সরকারের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ অবশ্যই সম্ভব বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ময়মনসিংহের বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।