প্রধান মেনু

নীলফামারীতে ৩৩ বেঁদে পরিবারকে জেলা প্রশাসনের সহায়তা

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নাটোর হতে নীলফামারী এসেছিল বেঁদে সম্প্রদায়ের ৩৩ পরিবার। তারা জেলা সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা গ্রামের খোলা স্থানে তাবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছিল। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গোটা দেশ লকডাউন হয়ে পড়লে বেঁদে পরিবারগুলো আটকে পড়ে। ২৯ মার্চ রবিবার দুপুরে এই পরিবারগুলো খাদ্য সংকটের কবলে পড়ে। এমন খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় জেলা প্রশাসন সহ সাংবাদিকরা।

এ সময় জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাদের প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল,৫ কেজি আলু, দুই কেজি মসুরডাল আধা লিটার ভোজ্য তেল ও এক কেজি করে লবন ও মাক্স বিতরন করেন। সেখানে তাৎক্ষনিকভাবে জনস্বাস্থা প্রকৌশলীর সহায়তায় স্থাপন করে দেয়া হয় পানি সরবরাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার, জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল হায়াত, সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন, বেলায়েত হোসেন, ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু প্রমুখ। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে আগত বেদেঁ সম্প্রদায়ের এসব মানুষ গেল সাতদিন থেকে কর্মহীন পড়েছিল।

সেখানকার মুকুল হোসেন বলেন, এখানে আসার পর আমাদের কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ঠিকমত খেতে পারছি না। বাহিরেও যাওয়া যাচ্ছে না। আজকে চাল, ডাল পেয়ে অনেক উপকার হলো।স্বপ্না চৌধুরী নামে আরেকজন বলেন, আমরা সাঁপ খেলা দেখিয়ে উপার্জন করে থাকি। এর থেকে যা আয় হয় সেদিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু করেনা ভাইরাসের কারনে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ি। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, নীলফামারী জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় দুইশ মেট্রিক টন চাল এবং সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন সরকার।যা ইতোমধ্যে উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উপজেলাগুলোর অনুকুলে।তিনি বলেন, সংকটের এই সময়ে নি¤œ আয়ের মানুষরা যা প্রকৃতপক্ষে বঞ্চিত তারা যেন সঠিক ভাবে এটা পান সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।