নির্যাতিত নারী ও শিশুদের আইনি ও চিকিৎসা সেবা প্রকল্পে ডেনমার্কের অর্থায়ন

নির্যাতিত নারী ও শিশুদের প্রয়োজনীয় আইনি ও চিকিৎসা সেবা এবং কাউন্সিলিং প্রদানের জন্য নতুন ৯টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৭টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল ও ৯টি ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার স্থাপনে ডেনমার্ক সরকার সহায়তা করবে। এই বিষয়ে আজ ঢাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত গরশধবষ ঐবসহরঃর ডরহঃযবৎ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগমের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে ডেনমার্ক সরকার ২৪ মিলিয়ন ডেনিশ ক্রোনার ( ২৭ দশমিক ৬০৩৪ কোটি টাকা) প্রদান করবে। এর ফলে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য হবে এবং ভবিষ্যতে নারী ও শিশু নির্যাতন হ্রাস পাবে এই আশা করা যায়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ডেনমার্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে আরো সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকারের সকল উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, নারীর জন্য নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠিত করা গেলে নারী নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও ডেনমার্ক দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম (৪র্থ) বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে হলো সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা হ্রাস এবং সেবা কার্যক্রম জোরদার করা। এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য ৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি, জেলা সদর হাসাপাতালে ৪০টি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল, ঢাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার (১০৯), ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি, ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে।