নিউইয়র্কে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্ধসঢ়;যাপন করে। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন এবং উপস্থিত সকলকে নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
তিনি নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অর্থনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক সহায়তা ও বিনিয়োগকে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে একযোগে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কনস্যুলেট মিলনায়তনে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী খুরশীদ সেলিমের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়। নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর এন্ড্রু এম কিউমো স্বাক্ষরিত প্রক্লেমেশনে (Proclamation) ২৬ মার্চ ২০১৯ কে Bangladesh Independence Day উধু হিসেবে নিউইয়র্ক স্টেটে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
তিনি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় বাংলা ভাষার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও ঘোষণা দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, বিপুল সংখ্যক কূটনীতিক, নিউইয়র্ক ও অন্যান্য স্টেটের প্রতিনিধি, কংগ্রেসনাল স্টাফ, থিংক-ট্যাংক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিপুল সংখ্যক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গ্রিসের এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৬ মার্চ যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদার সাথে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৯ উদ্ধসঢ়;যাপন করা হয়।