ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে এখন একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি চালু হচ্ছে। পৃথিবীর বড় কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন কর্মবান্ধব ও নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে। সকল ফ্যাক্টরিতে বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি-সহ সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ইপিজেডে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রীর সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরডিক রাষ্ট্রদূতগণ অর্থাৎ সুইডেনের রাষ্ট্রদূত Charlotta Schlyter, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত Sidsel Bleken ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত Winnie Estrup Petersen সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূতগণ বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণে আরো কিছু করার সুযোগ আছে। ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন-সহ নরডিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরপর চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জিমিং (Li Jiming) বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশ চীনের আরো বেশি বিনিয়োগ আশা করে এবং আরো বেশি রপ্তানি সুবিধা প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য চায়নার ভিসা সহজ করলে উভয় দেশের বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী জানান।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য চীনের ভিসা সহজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ চায়না বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে। চীন বাংলাদেশকে আরো বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।