প্রধান মেনু

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে গৃহীত কৌশলপত্র জ্বালানির বৈচিত্র্যময়তা ও পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়াতে কার্যকর অবদান রাখছে– বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে গৃহীত কৌশলপত্র জ্বালানির বৈচিত্র্যময়তা ও পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়াতে কার্যকর অবদান রাখছে। উন্নত প্রযুক্তি, গবেষণা ও আর্থিক সহযোগিতার সমন্বয় করা সম্ভব হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপক প্রসার নিশ্চিত হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সম্মিলিতভাবে কাজ করা আবশ্যক।

প্রতিমন্ত্রী আজ গ্লাসগোতে ‘COP-26 Energy Transition council (COP-26 ETC) Ministerial Event’ – এ বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রসারে Energy Transition council  ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার পরিমাণ কমে আসছে। ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াটের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে যেখানে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সৌরবিদ্যুতের জন্য কম জমি লাগে এমন প্রযুক্তি প্রয়োজন। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারের সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা দূরুহ। তাই সোলার হোম সিস্টেম ও সোলার মিনি গ্রিড এর মতো প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি গ্রামীণ জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, বায়োগ্যাস জ্বালানি বাংলাদেশের মোট প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ খাতের  গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের সংখ্যা  এক লাখ এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান এনার্জি হতে বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণায় Energy Transition council-এর সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে। পরিষ্কার জ্বালানি আমদানিতেও সরকার কাজ করছে। সকলের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করা অত্যাবশ্যক।

COP-26 এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল (ইটিসি) (COP-26 ETC)-এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক নেতৃত্বকে একত্রিত করে এনার্জি ট্রানজিশনকে ত্বরান্বিত করা, এবং পরিষ্কার জ্বালানির জন্য অর্থায়নকে সহজ করা। ETC ফোকাস দেশগুলো হলো -বাংলাদেশ, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাওস, মরক্কো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা।