নবান্ন হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ
মো: আবদুল কাদের,রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: নবান্ন হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ। যদিও বাঙালির নবান্নের উৎসব শুরু হয় পহেলা অগ্রহায়ন থেকে। তবে এখন আর অগ্রহায়নের দিকে তাকিকে থাকতে হয় না। আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ায় হেমন্ত ঋতু শুরুর আগে থেকে নবান্নের ঘ্রাণ মুখরিত হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের বাতাস। রোগ ও পোকার আক্রমন না থাকায় এবছর রায়পুরে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা।
রায়পুর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, এই বছর রায়পুরে ৮ হাজার ৫শ,৩৯; ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো বেশী ফলন আশা করছেন কৃষি বিভাগ। তবে কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করায় কার্তিক থেকে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় গেছে।
উপজেলার রায়পুরের উওর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী চরইন্দুরিয়া, উওর চরআবাবিল, ঝাউডগী, দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়ন, চর মোহনা, বামনী, কেরোয়াসহ উপজেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। রায়পুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তির্ন আমনের মাঠ। পোকা বা কোনও রোগের আক্রমন নেই। এতে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখেছেন চাষীরা।
উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল উদমারা গ্রামের কৃষক সহিদ উল্যা, রফিক, সুজা মিয়া, কুদ্দুছ মাঝি ও হোসেন বলেন, কয়েক বছর থেকে আমি ধান চাষ করে আসছি। এ বছরেও ১ একর ৭ গন্ডা জমিতে আমি জমিতে ফসল আবাদ করছি। এখন ক্ষেতের অবস্থা অনেক ভালো। তবে প্রথম দিকে কিছুটা পোকামাকড় থাকলেও ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভ হবে।