প্রধান মেনু

নবান্নের আলোয় দূর হোক জঙ্গিবাদের আঁধার — – তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নবান্নের দিন নিজের মনকে আলোকিত করার দিন। সোনার ধান-ফলানো কৃষকের জন্য মমতা, উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, নারী অগ্রযাত্রা, ডিজিটাল বাংলাদেশ আর গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আলোয় আলোকিত হবার সময় আজ। আর সেই আলোতে দূর করতে হবে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য, দারিদ্র্য, অশিক্ষা আর কূপমন্ডূকতার সকল অন্ধকার।

অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন আজ বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আরটিভি আয়োজিত দিনব্যাপী নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু এসময় সকলকে বিশেষ করে দেশের কৃষকদের প্রতি নবান্নের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে বাংলার গ্রাম-প্রান্তর আজ যে নবান্ন উৎসবে মেতেছে, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলার কৃষকদের। নবান্ন উৎসবকে দেশের লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষকের যাপিত জীবন, সবুজমাখা প্রকৃতির বৈচিত্র্য আর নদী-নালা, খাল-বিলের জলতরঙ্গ -এসবই আমাদের লোকজ সংস্কৃতির উৎস। আর ছয় ঋতুর পরিবর্তনের বৈচিত্র্য নগরের দালান-কোঠায় বসে যতটা না অনুভব করা যায়, তার চেয়ে অনেক বেশি অনুভব করা যায় বাড়ির উঠোনে বসে, ক্ষেতের আলে বসে বা নদীর পাড়ে বসে।

তিনি আরো বলেন, নাগরিক সভ্যতাকে অস্বীকার করে নয়, লোকজ সংস্কৃতির শেকড়কে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরেই নাগরিক সভ্যতার বিকাশ সাধনে এগুনো উচিত। তবেই কেবল আধুনিকতার সাথে সাথে বাঙালির স্বকীয় বৈশিষ্ট্যও ধারণ করতে পারা যাবে। ষড়ঋতু নিয়ে বাংলায় যত সাহিত্যকর্ম হয়েছে, তা আর কোন ভাষায় হয়েছে কিনা জানা নেই উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু তার বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, বেগম সুফিয়া কামাল, শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ সাহিত্যিকদের হৈমন্তিক পঙ্ধসঢ়;ক্তিমালা স্মরণ করেন।

নবান্ন উৎসবের এ অনুষ্ঠানে আরটিভির চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম এমপি, প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক রহমান, পরিচালক ফিরোজ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।