প্রধান মেনু

নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালী করা হবে

নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালী করা হবে। উচ্ছেদকৃত নদীর তীর যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য সেখানে বনায়ন এবং শক্ত মজবুত সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হবে। নদীর তীর দখল মুক্তকরণের পাশাপাশি নদীর দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে সমস্ত উৎসমুখ দিয়ে নদীর পানি দূষিত হয় সেসব উৎসমুখ বন্ধ করা হবে। শিল্পকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি যাতে নদীতে না পড়ে সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

ঢাকার চারপাশের নদীর তলদেশের বর্জ্য উত্তোলন ও নদীর পানি দুর্গন্ধমুক্ত করতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকার সার্কুলার নৌপথকে দুর্গন্ধমুক্ত করে পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে দৈনিক জনতা ও প্রিমিয়ার নিউজ সিন্ডিকেট লিমিটেড (পিএনএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নৌসচিব বলেন, নদী আমাদের প্রাণ, নদী আমাদের মায়ের মতো। নদীকে বাঁচাতে রাখতে না পারলে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। নদীর তীরে শহর গড়ে উঠেছে। নদীর পানি কৃষি, মৎস্য চাষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সভ্যতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নৌসচিব আবদুস সামাদ বলেন, নদী, নদীর তীরভূমি রক্ষা এবং নদীর গতিপ্রবাহ ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বাজেটে বরাদ্দ দিয়েছেন। নদীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর যেমন দরদ ছিল, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ঘোষণা করেছেন। ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী নদী, খাল, বিল ও পুকুর খনন করে সেখানে জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। জলাধারে বন্যা, বৃষ্টি ও ঝর্ণার পানি সংরক্ষণ করে সে পানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো হবে। তিনি আরো বলেন, নদীগুলোকে পরিষ্কার করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নদী রক্ষায় যারা সহায়তা করবে তাদের জন্য ‘জাতীয় নদী রক্ষা পুরস্কার-এর’ ব্যবস্থা থাকবে।