নদীবন্দরে সেবার মান বাড়াতে ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের উদ্যোগ – নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত দশ বছরে নৌপরিবহন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে, যা আজ দৃশ্যমান। সরকার এখন নীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে নৌ খাতকে বিকশিত করতে চায়। সকল নদীবন্দরে সেবার মানোন্নয়নে সরকার ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাটের আনন্দ শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটি র জন্য ৪৫ টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। দেশের অর্থনীতি বিকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসা-বান্ধব সরকার। দেশে বিনিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। ব্যবসা-বান্ধব সুযোগ সুবিধায় বিশ্বে ২০তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেড়ে গেছে। পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ না করার ভুল বিশ্বব্যাংক আজ বুঝতে পারছে বলে মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ বলেন, বিশ্ববাসী এখন জানে শেখ হাসিনার সরকার পদ্মা সেতুর মত বড় ধরনের কাজ করতে সক্ষম।
বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদী বন্দরে স্থাপনের জন্য প্রায় ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আনুসঙ্গিক সুবিধাসহ ৪৫টি বিশেষ ধরনের টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে গত ২২ আগস্ট আনন্দ শিপইয়ার্ডের সাথে বিআইডব্লিউটিএর চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পন্টুনগুলো পাওয়া যাবে। প্রতিটি পন্টুনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং গভীরতা ৭ দশমিক ৫ ফুট।
এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার সদরঘাটে ১৫টি, লালকুঠিঘাটে ৪টি, ওয়াইজঘাটে ৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৪টি, চাঁদপুরে ৪টি, ভোলায় ৩টি, পটুয়াখালীতে ৩টি, মীরকাদিমে ১টি, ফতুল্লা লঞ্চঘাটে ২টি, ঝালকাঠি ঘাটে দুটি, হুলারহাট ঘাটে একটি, বরগুনায় ১টি ও খুলনা নদী বন্দরে ১টি পন্টুন স্থাপন করা হবে।