প্রধান মেনু

নদীতীরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ নয় বরং সমন্বয় করতে চাই – নৌপ্রতিমন্ত্রী

পিআইডি নিউজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীতীরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অনুভূতির সাথে যুক্ত। সেগুলো সমন্বয়ের লক্ষ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদ, আলেম ওলামা, মাসায়েখ যারা ধর্ম প্রচার করে থাকেন তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ নয় বরং সেগুলোর সমন্বয় করতে চাই। প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর তীরভূমিতে বিদ্যমান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনা পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। নদীতীর দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

নদীতীর ভূমি দখলমুক্ত, দূষণমুক্ত এবং নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত একবছর বাধাহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মিডিয়ার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের লক্ষ্যে আরো সার্ভে করার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, ধর্ম সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী আশরাফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অর্থ বিভাগ, রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর প্রতিনিধিবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ঢাকা, টঙ্গি ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর (বৃত্তাকার নৌপথ অংশ) তীরভূমিতে অননুমোদিতভাবে গড়ে উঠা ১১৩টি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার ৭৭টি; কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা পাঁচটি; ঈদগাহ একটি; স্কুল ও কলেজ ১৪টি; স্নানঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট ১৩টি এবং অন্যান্য তিনটি প্রতিষ্ঠান।