নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে লাইব্রেরির বিকল্প নেই– কে এম খালিদ

ঢাকা, ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই ২১ বছরে জাতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে কমপক্ষে ৪২ বছর সময় লাগবে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিশেষ করে বিগত ১২ বছরে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান, তাঁর জীবন ও কর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। আর এ বিষয় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে লেখক, প্রকাশক, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে বইপ্রেমী সাধারণ জনগণ। সেজন্য নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে লাইব্রেরির বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তিন দিনব্যাপী পুস্তক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, একটি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির পরিকল্পনা ও চক্রান্তে এবং জিয়াউর রহমানের মদদে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিমন্ত্রী এসময় মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর কর্তৃক নিজের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক ও ৭১ টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীনস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ‘ব্রেইল কর্নার’ উদ্বোধন করেন। ‘ব্রেইল কর্নার’টি স্থাপনে সহযোগিতা প্রদান করেছে ‘স্পর্শ ফাউন্ডেশন’ যারা দীর্ঘদিন থেকে দৃষ্টিজয়ী মানুষের সেবায় কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবসকে সামনে রেখে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক এ কর্নারটি স্থাপন করা হয়েছে।