ধান-চাল কেনায় গতি বাড়ানোর তাগিদ খাদ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) : সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান-চাল ক্রয়ে গতি ত্বরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একইসাথে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অবৈধ কার্ড বাতিলে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া এবং প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে বলে জানান তিনি।
আজ মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সমন্বয় করেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
মন্ত্রী বলেন, কৃষক বোরোতে এবার বাম্পার ফলন ও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। ধান চাল ক্রয়ে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে এবং খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে। ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি জেলা প্রশাসক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের যেকোনো প্রকার হুমকিকে ভয় না করে; স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার তাগিদ দেন।
ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে প্রদান করা হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মে মাসেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল দেয়া হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসকগণ, চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।