প্রধান মেনু

ধর্ষণকারীর শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত — মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ আশ্বিন (৭ অক্টোবর) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘আমি মনে করি ধর্ষণকারী যদি প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই তার ফাঁসি হওয়া উচিত’। ধর্ষণের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নেমেছে আমি তাদের স্বাগত জানাই। ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলনের পেছনে যাতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকে।’ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: আ প্রোফাইল অভ্ প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের ৫০ শতাংশ নারী। আমি নারীদের উদ্দেশ্যে বলব ধর্ষক, ধর্ষকই। তার কোন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিচয় নেই। ধর্ষকের মা-বাবাকে আহ্বান জানাব, আপনি এই ধর্ষক পুত্রকে বর্জন করুন। আমি সমাজ-সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি আহ্বান জানাব ধর্ষণকারীদের যাতে তারা বর্জন ও বহিস্কার করে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটি অসুস্থ মানসিকতা কাজ করে। সেজন্য দরকার সচেতনতা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই নির্যাতন বন্ধ করতে পারব। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মা-বাবার। সন্তানেরা কোথায় যায়, কি করে, কার সাথে চলাফেরা করে সেটা তাদের জানতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যখনই কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে আমরা সংশ্লিষ্ঠ জেলার ডিসি, এসপি এবং ওসিকে ফোন করে আসামীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভিকটিমের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আইনগত সহায়তা-সহ সকল ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর উন্নয়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

প্রাকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাস্ট্র থেকে ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা (Claudia Cappa)। বাংলাদেশ থেকে যোগদান করেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ মিজ ভেরা মেনডোস্কা ওআইসি (Veera Mendonca, OIC)।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্মসচিব মো মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।