দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) : দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হলে এর ব্যয়ও বাড়ে। গণমাধ্যম ও স্থানীয় নেতৃত্ব তৎপর হলে প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী আজ সিলেটের খাদিমপুরে সুরমা গেইটে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ২য় প্যাকেজের কাজের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন মহাসড়কটি বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং চীনের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করবে। এতে দেশে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের সাথে সাথে নতুন দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে বলে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে সিলেট- তামাবিল অঞ্চলে একটি নিরাপদ ও টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠবে। প্রকল্পটি এ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবন-জীবিকার মান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ প্রকল্পের আওতায় ৫টি সেতু, ২২টি কালভার্ট, ১১টি ফুটওভার ব্রিজ, ৭টি বাস স্ট্যান্ড, ৬টি ইউলুপ এবং একটি টোলপ্লাজাও নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ায় কথা রয়েছে। এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় মহাসড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা পরিষদে উপজেলার ১২টি উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২১ কোটি ৪০ হাজার টাকা ব্যয়বিশিষ্ট এসব কার্যক্রমের আওতায় সড়ক, স্কুল ভবন, সেতু ও মসজিদ নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে ড. মোমেন সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩১৫ জন কৃষকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রবি শস্যের বীজ ও সার বিতরণ করেন। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।