দেশে চিকিৎসা সেবা এমন হবে যেন কোনো রোগীকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে না হয়—-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ফাল্গুন (১৬ ফেব্রুয়ারি) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সব হাসপাতালের ছোট-বড় খুটিনাটি সব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন রকম কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। যা কিছুই করা হোক চিকিৎসা দিতে হবে চিকিৎসকদেরই। চিকিৎসা দিতে অবহেলা করা যাবে না। নিজ নিজ হাসপাতালকে নিজ উদ্যোগে সংশোধন করতে হবে, উন্নত করতে হবে। মানুষকে চিকিৎসা সেবা এমনভাবে দেবেন যেন কোনো মানুষকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয়।
মন্ত্রী আজ রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অডিটোরিয়াম হলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে বেড সংখ্যা ১ হাজার হলেও চিকিৎসা নেয় ২ হাজারের বেশি মানুষ। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। হাসপাতালের কিছু বিভাগে ভালো চিকিৎসা সেবা দেয়া হলেও বেশ কিছু বিভাগের গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। আরেকটি অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই হাসপাতালে প্রায় ছয় শত যন্ত্রপাতি থাকলেও এগুলোর মধ্যে সাড়ে চারশ’ই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। হয় পুরাতন যন্ত্রপাতি দ্রুত মেরামত করতে হবে, নইলে নতুন মেশিন কিনতে হবে। কিন্তু সাড়ে চারশ মেশিন নষ্ট পড়ে থাকলে মানুষ কী চিকিৎসা পাবে? তিনি বলেন, হাসপাতালে কী কী ওষুধ দেয়া হয়, আর রোগীদের কী কী ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়, এটা খুঁজে বের করা হচ্ছে। এরপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রংপুরে নির্মাণাধীন ১৫ তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার হাসপাতালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। নির্মাণকাজ দ্রুততার সাথে করতে স্থানীয় প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন মন্ত্রী। এরপর মন্ত্রী ১০০ বেডের শিশু হাসপাতাল এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত বিভিন্ন ইউনিটের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ও সেখানকার চিকিৎসক, নার্সদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর শামিউল ইসলাম, রংপুর বিভাগের বিএমএ সভাপতি ও রংপুর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র রায়, এইচ.ই.ডি এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার বশির, রংপুর মেডিকেলের পরিচালক ইউনুছ আলী, রংপুর বিভাগীয় পরিচালকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।