দেশের সকল মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে মৌলভীবাজার জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরিবেশমন্ত্রী

মৌলভীবাজার, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের সকল মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। সরকার টিকা সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেজন্য বিশ্বের সম্ভাব্য সকল জায়গায় যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
মন্ত্রী আজ মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলার কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটি’র সাথে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মৌলভীবাজারবাসীদের পক্ষ হতে প্রদত্ত কোভিড-১৯ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ কোন অবস্থায় আছে, আর আমাদের সরকার জনগণের জন্য কি কাজ করছে, তা দেখতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা বিশ্বে অনুকরণীয়। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মৌলভীবাজারে আঠারো বছরের উর্ধ্বে কতজন ভ্যাক্সিন গ্রহণের বাকি আছেন সে তালিকা তৈরি করতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার- ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সির্ভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, বিএমএ মৌলভীবাজারের সভাপতি ডা. শাব্বির হোসেন খান।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইদুর রহমান রেনু ও আহমেদ হাসানের উদ্যোগে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ২০ লাখ টাকা মূল্যের জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২টি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলাসহ বিবিধ চিকিৎসা সামগ্রী। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ ১০টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ও মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স ২০ হাজার মাস্ক প্রদান করে। পরে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।