দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে — স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ পৌষ (২৯ ডিসেম্বর) :স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যবস্থা করেছে। এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভ্যাকসিন দেশে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি ডাবল ডোজ সহ মোট ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও সরকারের হাতে আরো ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন থাকবে। আগামী মাস থেকেই সরকার দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই সরকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) আয়োজিত ইডিসিএলের বার্ষিক জেনারেল মিটিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।
দেশে ইডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য ইডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর ইডিসিএল আরো বেশি শক্তিশালী হবে বলে সভায় জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ১ম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি। চিকিৎসায় সঠিক গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না বলে জানান মন্ত্রী। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মুখে মাস্ক পড়ারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্যরা। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।