দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে বস্ত্রখাত ভূমিকা রাখছে

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বস্ত্রখাত সমগ্র বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। আগামীতে এই খাত যেন বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারে সেজন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে বস্ত্রখাত প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজ সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, টেকসই উন্নয়ন’, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে ।
বর্তমান সরকার ‘ভিষণ-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করনীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর বস্ত্রখাতের যে ক্ষতি হয়েছিল বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠে এই খাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন অধিকাংশ কোম্পানি শতভাগ কমপ্লায়েন্স পরিপালন করছে। তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রিনফ্যাক্টরি) নির্মাণে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নত মানের কারখানার ৭টিরই অবস্থান বাংলাদেশে । গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমাদের বস্ত্রখাত আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে এগিয়ে চলছে।
বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি ধরে রাখতে হলে বস্ত্রখাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় পণ্যের (ডাইভারসিফাই প্রোডাক্ট) উৎপাদন বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট তৈরি করে এই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। আগামী ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বস্ত্রখাতে অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ী মোড় ঘুরে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে বস্ত্রখাতের অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।