দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে ইপিজেড শ্রমিকদের বিক্ষোভ, অপসারন দাবি

(পাবনা) সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদী ইপিজেডে জাপানী প্রতিষ্ঠান নাকানো ইন্টারন্যাশনালের মাসুদুল হাসান জুয়েল নামের এক দোভাষীর দুনীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে এবং অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি করেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী ইপিজেডের ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও দোভাষী জুয়েল হোসেনকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দিবেন না বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষোভরত শ্রমিকরা।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, ইপিজেডের কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দোভাষী জুয়েল ধারাবাহিকভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রশাসনিক সচিব মোমিনকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাকানো ইন্টারন্যাশনালের আইটি ইনচার্র্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, এই প্রতিষ্ঠানের দোভাষী মাসুদুল হাসান জুয়েলের দুর্নীতির তথ্য জাপানী কর্তৃপক্ষ (জিএম প্রধান) কাজী হারাসান এর নিকট জানানোর অপরাধে শ্রমিকদের হুমকি ধামকি এমনকি চাকরীচ্যুত করেছেন জুয়েল। প্রধান সুপারভাইজার জাহিদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন শ্রমিক কর্মচারীদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর নেওয়ার খবরে ছড়িয়ে পড়লে সকাল হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শ্রমিকরা।
তারা দোভাষী জুয়েলের অপসারনের দাবিতে ইপিজেডে এসে কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঈশ্বরদী ইপিজেডের জিএম নাহিদ মুন্সি ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়েলকে আগামী ১৫ দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাকে অপসারণ করা না হলে তারা ফের আন্দোলন করবে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা) নাকানো ইন্টারন্যাশনালের অফিসে বৈঠক চলছে। বৈঠকে ঈশ^রদী ইপিজেডের জিএম, নাকানোর চেয়ারম্যান, উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। উল্লেখ্য, জাপানীদের মালিকাধানী এই নাকানো কোম্পানীতে ১৮৭৫ জন শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন।