তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ইতিপূর্বেও পৌর মেয়র তাকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করেছেন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় প্রাণ ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতেই আহত রতন চন্দ্র দাস পৌর মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে দুপচাঁচিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ মারপিটের ঘটনায় পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের লাফাপাড়া ও সাবলা এলাকার দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ গতকাল রোববার দুপচাঁচিয়া-তালোড়া রাস্তার ডায়াবেটিকস হাসপাতালের সামনে দোষীদের বিচার ও শাস্তির দাবীতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন তালোড়া পৌর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম নজু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ রাজু, পৌর কাউন্সিলর হাসেম প্রামানিক, সাবু প্রামানিক, এমরান সরকার রিপু, এলাকাবাসী মানিক চন্দ্র মোহন্ত, শ্যাম দাস, সুকৃতি রানী দাস, পারুল রানী দাস, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিধু চন্দ্র দাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা মেয়র কর্তৃক এলালকার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  তালোড়া পৌর মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল এর সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।  দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।