প্রধান মেনু

দুই পাঁঠার দাম উঠেছে ৩ লাখ ২০ হাজার

মুনজুর কাজী, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরু ও ছাগলের খামারীরা তাদের পালিত পশুদের পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে খড় সহ বিভিন্ন গবাদি খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা হিমশিম খাচ্ছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস হতে জানা গেছে, এ উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ১ হাজারটি খামার রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ খামারী এ ঈদকে সামনে রেখে গবাদি পশু সহ ছাগল ও অন্যান্য পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন খামার ঘুরে খামারীদের সঙ্গে কথা হয়। তাদেরই মধ্যে একজন খামারী উপজেলার কইল গ্রামের ইউপি সদস্য অশোক কুমার দেব। তার দুর্গা ডেইরী ফার্ম ও লোকনাথ ছাগলের খামার নামে দু’টি বড় খামার রয়েছে। প্রায় ৪ বছর আগে তিনি ৫/৬টি ছাগল নিয়ে এ ছাগলের খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৪৭টি ছাগল, খাসি ও পাঁঠা রয়েছে। ছাগলের জাতের মধ্যে রয়েছে যমুনা পাড়ি (হামছা-হাফছা) যমুনা পাড়ি বিটল, পাকিস্তানী, শিহরী, ইন্ডিয়ান কমলা ও তোতাপুরী।

নাটোর, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুর সহ অন্যান্য স্থান হতে তিনি এসব ছাগল ক্রয় করে নিয়ে আসেন। তার খামার পরিচর্যার জন্য ৫জন শ্রমিক রেখেছেন। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর জার্মানী ঘাসও চাষ করছেন তিনি। সম্প্রতি তার খামারের দু’টি বড় পাঁঠার দাম চেয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার। পাইকাররা দাম হাকিয়েছেন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার গরুর খামারে বড় বড় ৫টি ষাঁড়, ২৫টি গাভী ও ১১টি বাছুর রয়েছে। ষাঁড়গুলো ঈদ বাজারের প্রস্তুত করছেন।

এ ব্যাপারে খামারী অশোক কুমার দেব বলেন, তার এ খামার দু’টিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খাটিয়ে যে লাভ হয় তা যৎ সামান্য। কেননা বর্তমানে খৈল, ভূষি, খড় ওষুধ সহ গবাদি পশুর খাদ্যের যে হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই অনুপাতে লাভের মুখ তেমন দেখা যাচ্ছে না। ব্যাংক ঋণের সুদের হার কম হলে ও খাদ্য সামগ্রীর দাম কমলে আমরা খামারীরা আরও লাভবান হতে পারতাম।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নাছরিন পারভীন ও উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন(ভিএস) ডাঃ মাহবুব হাসান চৌধুরী জানান, অশোক কুমার দেব একজন রেজিষ্টার্ড খামারী। তার খামারটি বেশ বড়। এ উপজেলায় ছোট বড় সব খামারীদের সার্বক্ষনিক তদারকি করা হয়। এছাড়া প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা, কৃমি নাশক ওষুধ সহ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে খামারীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পেইন করা হয়।