দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মোঃ আব্দুল কাদের দিনাজপুর(নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: আম পাকার মাস জ্যৈষ্ঠ মাস। মধু রসের মাস জ্যৈষ্ঠ মাস। দুয়ারে উঁকি দিচ্ছে মধু মাসের। দিনাজপুর জেলার অন্যতম আম উৎপাদনের জন্য খ্যাত এলাকা নবাবগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার সর্বত্রই প্রতিটি বাগানে এবং বাড়ির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা আম গাছের ডগায় শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। গাছগুলোতে মুকুলের সাথে কুঁড়িরও দেখা মিলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে আম গাছে এবার আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। প্রত্যাশিত আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আম চাষী ও বাগান মালিকগণ।
অত্র এলাকার বেশিরভাগ মানুষের আয়-রোজগারের অন্যতম উৎস এই আম চাষ। আমচাষীরা প্রতি বছর আমের এই মৌসুমে অত্যন্ত কর্মব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করেন। উৎপাদিত আমের মধ্যে রয়েছে হিমসাগর,ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, গোপালভোগ, বারী-৪ ইত্যাদি। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হলাইজানা গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বছর আমের উৎপাদন কম হলেও বেশ ভাল দাম পাওয়া গিয়েছিল এই মৌসুমে আমের বাজার চাহিদা বেশি হলে বাজার উর্ধ্বগতি হতে পারে। একই উপজেলার নলেয়া গ্রামের আমচাষী মোঃ মোকলেছার রহমান জানান, যে জমিতে অন্য কোনো ফসল হয় না সেখানে আম বাগান করলে অধিক মুনাফা পাওয়া যায় এবং অন্যান্য ফসলের তুলায় চাষীরা আম চাষে দিন দিন বেশী আগ্রহী হয়ে উঠছে।
উপজেলার দহপাড়া গ্রামের আম ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, করোনার প্রকোপ দীর্ঘমেয়াদী হলে আমের বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদিত আম বাজারজাতকরণ এবং দাম পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। উপজেলার মাহমুদপুর, দাউদপুর, আফতাবগঞ্জ এলাকায় আমবাগান বেশি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমবাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি মুকূল ধরেছে।
মাহমুদপুর ফলচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মোঃ সুলতান আহমেদ বলেন, আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা থাকলেও পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমের উৎপাদন আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ৩০-৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
« পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ : আহত ২ (পূর্বের খবর)