দরজায় তালা ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

গাজী রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের বাহিরে দরজায় তালা ঝুলিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সহোদর ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে। হত্যা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় গতকাল বিকেলে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগটি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবার।
তারা জানান, শুক্রবার (২এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মকজুল ভুঞাঁ বাড়ির শহিদ উল্যাহর ঘরের বাহিরে দরজায় তালা ঝুলিয়ে পেট্রোল জাতিয় পদার্থ ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবং জানালা দিয়ে প্রতিপক্ষ হানিফের ছেলে ফরহাদ সহ কয়েকজনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখতে পায় তারা, বাঁচার আকুতিতে শোর চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী ঘরের টিনের বেড়া কেটে, তালা ভেঙ্গে পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রাসহ বেগমগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে ঘরের স্বর্ণ-গয়না ও আসবাবপত্র সহ ১৬ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে অভিযোগে জানাযায়। এসময় শহিদ উল্যাহর স্ত্রী নাছিমা আক্তারের হাত ও মুখের বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে গেলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে গতকাল আবারো প্রতিপক্ষ হানিফ ও তার ছেলেরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে তারা জানান। এ ঘটনায় কারণে নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সন্ধায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি এজহার দাখিল করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে শোরচিৎকার শুনে সবাই এসে ঘরের টিনের বেড়া কেটে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেন। কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন বলেন, শহিদ ও হানিফের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এবং আগুনে শহিদের ঘর পুড়েগেছে এবিষয়ে তিনি জেনেছেন। তবে কে বা কাহারা পুড়েছে, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা।
এদিকে অভিযুক্ত হানিফের কাছে জানতে চাইলে, সে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলনা বলে জানান। এবিষয়ে জানতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান সিকাদারকে মুঠো ফোনে কল করলে, তিনি কলটি রিসিভ করেনটি।