দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব — প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ ভাদ্র (৮ সেপ্টেম্বর) : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, জীবনব্যাপী শিক্ষার আওতায় জীবন-জীবিকা নির্বাহে চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই প্রি-ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনশীল খাতে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে মৌলিক সাক্ষরতার সাথে জীবনব্যাপী শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, সাক্ষরতা শুধু অক্ষরজ্ঞান বা স্বাক্ষর করা নয়। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো প্রয়োজনীয় সাক্ষরতা ও দক্ষতা অর্জন করা। দেশের উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা অপরিহার্য। সাক্ষরতার মাধ্যমে মানুষ সচেতন হয়, স্বর্নিভার হয়, স্বাস্থ্য সূচকে উন্নয়ন ঘটে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মিরপুরে ঢাকা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২১’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Literacy for a Human-centred Recovery: Narrowing the Digital Divide’.
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোঃ হাসিবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃব্য রাখেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ আতাউর রহমান করেন। ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ সোহেল ইমাম খান । অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের চিফ অভ্ এডুকেশন মিজ হুহুয়া ফান।
জাকির হোসেন বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বাঙালি বীরের জাতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমার বাংলাদেশর স্বাধীনতা আর্জন করেছি। তাই কোন বাঁধাই বাঙালি জাতির উন্নয়ন থামিয়ে রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য গৃহীত ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয় গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার নিয়ে সকল শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি’। দক্ষতা ও সততার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।