প্রধান মেনু

ত্রাণের দাবিতে পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও- ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে কর্মহীন অসহায় মানুষদের ত্রাণের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ত্রাণ বঞ্চিতরা চেয়ারম্যানকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসি সূত্রে যানা গেছে, সকালে পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়িবাথান, ফকিরাবাদ ও রাজাপুর গ্রামের কয়েক’শ নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি,নজরুল চেয়ারম্যান তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেয় কিন্তু কোন ত্রাণ সহায়তা দেয় না। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর চেয়ারম্যান কে.এম নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

বিক্ষোভকারীরা ত্রাণ দাবী করলে তর্কা-তর্কির জেরের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বিক্ষোভকারী এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে মারপিট শুরু করে। চেয়ারম্যান দৌঁড়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে ঢুকে যায়। চেয়ারম্যানের সহযোগিরা তাকে ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে নিয়ে রক্ষা করে।

খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমুলক দাবী করে চেয়ারম্যান কে.এম নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে ১০ টন চাউল বরাদ্ধ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে তালিকা করে সুষ্ঠুভাবে বন্টন করা হয়েছে।

এরপরও বাড়িবাথান, ফকিরাবাদ ও রাজাপুর গ্রামের ৫’শ পরিবারের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধ করা হয়েছে। তার তালিকা করা হচ্ছিল বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রাণ সহযোগিতা করা হবে। এর মাঝেই ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে। আমি তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালানো হয়।

এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে তাদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য আশস্থ করার পর তারা বাড়িতে ফিরে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্যঃ গত মঙ্গলবার প্রথমবার ঝিনাইদহে ত্রাণের দাবিতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। তাদের দাবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম নজরুল ইসলাম তাদের কোন খোঁজ খবর রাখেন না। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ওই আবাসনের হত দরিদ্র এই মানুষগুলো।

এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যান। নির্বাহী অফিসারের বক্তব্যে তারা সন্তুষ্ট হতে না পেরে সেখান থেকে ফিরে শহরের পায়রা চত্বর ও পরে ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পের সামনে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মসহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং তাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

অপর এক ঘটনায় শৈলকুপার ভাটই বাজারে ত্রাণের দাবিতে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে ১৫নং ফুলহরি ইউনিয়নের লোকজন,পরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ এর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসি।