প্রধান মেনু

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জে সংঘর্ষ : থানায় অভিযোগ

এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আহতদের ছেলে বাদীহয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার ১১জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় বাদে উবাহাটা গ্রামের খোরশেদ মিয়ার বাড়িতে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ পত্রে আব্দুস সামাদ জানান, আমাদের বসত বাড়ীতে ঢুকে বিবাদী আ: আহাদ (৩০), আ: হাসিম (৫৫), আলেয়া বেগম (৪৫), জহুরা বেগম (২৮), ১১ জুন বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উভয় পক্ষের বসত বাড়ির সীমানায় যাওয়াকে কেন্দ্র করিয়া, আমার পিতা খুরশেদ আলম (৫২) ও আমার মা নুরুন নাহার (৪৬)কে এলোপাতাড়ি ভাবে শাবল দিয়া বাড়ি মারিয়া তাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং বিবাদির হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া আমার পিতার মাথার বাম পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।বিবাদীগন আমার পিতা ও মাতাকে প্রাণে হত্যারও ভয়-ভীতি দেখায়। আমি উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার পিতা-মাতাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
আহত নুরুন নাহার জানান, আ: আহাদ আমাদের সাথে পূর্ব হতে বিভিন্ন সময় জমি-জমা নিয়ে বিরোধ করে আসছে। সে আমাদের বসত বাড়ী দখলে নিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পায়তাড়া করে আসছে। আজ আমার মুরগির বাচ্চা উভয় পক্ষের ঘরের সীমানায় গেলে আহাদ আমার মুরগিকে বারিদিয়া মেরে ফেলে, আমি কারন জানতে চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে তার পরিবারকে সংগে নিয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার চিৎকার শুনে আমার স্বামী ছুটে এলে আহাদের হাতে থাকা শাবল দিয়ে আমার স্বামীকে জানেমারার উদ্দেশ্যে আঘাত করে আহত করে। প্রতিবেশিসহ আমার ছেলে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বিবাদী আ: আহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি আমার পুর্বে থাকা মাটির সিমানা প্রাচির ভাঙ্গার কাজ করছিলাম। কাজের এক পর্যায়ে মাটির খন্ড পরে প্রাচিরের পাশে থাকা মুরগির বাচ্চা মরার সম্ভবনা দেখে আমি মুরগির বাচ্চাগুলোকে তাড়িয়ে দেই। এতেই আমার চাচি খিপ্ত হয়ে আমাকে আক্রমণ করেন। আমার চাচা আটকা আটকি করলে আমার হাতে থাকা শাবল লেগে আমি ও আমার চাচা একটু আহত হই। আমার মারামারির কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ে মারামরি করার খবর পেয়েছি। যেহেতু তারা একই পরিবারের, তাই আমি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্যে বলেছি।