প্রধান মেনু

তিন চাকার দখলে উথলী বাসস্ট্যান্ড

রুহুল আমিন,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার শিবালয় উপজেলার ঢাকা আরিচা- মহাসড়কের উথলী বাসষ্ট্যান্ড তিন চাকা বিশিষ্ট যান সিএনজির দখলে, পথচারীদের চলাচলে হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি।

সরকার সিএনজি চালিত তিন চাকার যানবাহন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান মহাসড়কে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও। উথলী বাসষ্ট্যান্ড তার ব্যাতিক্রম চিত্র থাকে প্রতিনিয়ত। দিন রাত ২৪ ঘন্টা থাকে দখলে রাখে সিএনজি চালিত তিন চাকা বিশিষ্ট এই গাড়ী গুলো। যার ফলে পথচারীদের চলাচলে প্রতিমুহূর্তই বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

মহাসড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ ষ্ট্যান্ড হতে প্রতিদিন পাবনা জেলা, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর তীর ঘেরা অঞ্চলের মানুষ ও শিবালয় উপজেলার কর্মজীবী বাসিন্দারা, স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাত্রীবাহী বাস যোগে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু সিএনজি গুলো পথচারী চলাচলের জায়গায় পরিপুর্ন করে দাড় করে রাখা হয় সিরিয়াল মাফিক।

এতে করে পথচারীরা ব্যাবহৃত রাস্তা ব্যাবহার করতে পারছেনা। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বাসযাত্রীরা বাস থেকে নামার জায়গা পায়না এই সিএনজি গাড়ী গুলোর জন্য। যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে যেমন ঠিক তেমনি বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী যাত্রীবাহী পরিবহন গুলো এই সিএনজি মহাসড়ক দখল করে থাকাতে যানজটের কবলে পড়ছে প্রায় প্রতিনিয়ত। তাছাড়া এই সিএনজি গুলো জন্য প্রায়ই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।

আনোয়ার হোসেন নামে এক পথচারী জানান, ষ্ট্যান্ডে চলাফেরার জায়গায় সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে মাঝ রাস্তা দিয়ে দুরপাল্লার গাড়ী চলাচল করছে। আমরা কোথায় দিয়ে চলবো বলুন আপনারাই। এ ষ্ট্যান্ডে দাড়ানোর মত কোন জায়গা যাত্রীদের নেই এমনকি পথচারীদের চলাচলের জায়গা ও সিএনজি ষ্ট্যান্ড বানিয়ে দখল করে রেখেছে। এ ষ্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা আর মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করা সমান কথা। কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে বলা মুশকিল।

সরকারী দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী রুবি আক্তার ও শিবালয় সদর উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী নাজনিন মিম জানান, এই সিএনজি রাখায় একেতে চলাচলের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ বলা চলে। যাও পাশ দিয়ে কোন মতো ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া যায় । কিন্তু সিএনজি বসে থাকা কিছু চালক মাঝে মধ্যেই আমাদের মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে।

লোকলজ্জার ভয়ে আমরা এগুলো চেপে যাই কোন প্রতিবাদ করিনা বা করতে পারিনা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে পথচারী জায়গা আটকে রেখে সিএনজি দাড় করিয়ে রাখবে আবার মেয়েদের কে নানা ভাবে টিজ করবে। স্বাধীন দেশে নারীদের চলা ফেরা খুব মুশকিল এই বখাটে কিছু মানুষগুলোর জন্য। মহাসড়কের দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রশাসনের এ বিষয়টা গুরুত্বের সহীত নিয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।

এছাড়া খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই সিএনজি চালিত তিন চাকা বিশিষ্ট গাড়ীর বেশীর ভাগ চালকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অনেকের বয়স আঠারোর নিচে। তাছাড়া ৫০-৬০ শতাংশ গাড়ীর নেই রুট পারমিট ও রেজিস্টিশন।

এ বিষয়ে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়ামিনি উদ দৌল্লা জানান, মহাসড়কের স্ট্যান্ড গুলোতে পথচারীদের জায়গা দখল করে রাখা সিএনজি ও লেগুনার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।

এছাড়া ইতিমধ্যে বানিয়াজুড়ি ও বরংগাইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিএনজি ও লেগুনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উথলী ষ্ট্যান্ডে দুই একদিনের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সিএনজি গুলো উচ্ছেদ করা হবে।