প্রধান মেনু

তাসখন্দের গভর্নরের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

তাসখন্দ (উজবেকিস্তান), ৫ এপ্রিল : উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ তাসখন্দের গভর্নর শাভকত উমরাজাকভের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় গভর্নর অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধন ও যোগসূত্রের বর্ণনা দিয়ে এ সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠতর ও প্রসারিত করতে ঐতিহাসিক শহর হিসেবে খ্যাত তাসখন্দ বিশেষ অবদান রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন। বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সহযোগিতা সম্প্রসারণে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে তাসখন্দ শহরের অপার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি যোগ করেন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গৌরবময় ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য সম্পর্কে গভর্নরকে অবহিত করেন। ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তাসখন্দের একটি যথাযথ স্থানে শহিদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তিনি বাংলাভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে তাসখন্দে পরিচিতি ও বিকাশে গভর্নরের সমর্থন কামনা করেন। বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য ও ওষুধ আমদানি করতে তাসখন্দের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে উৎসাহিত করতে রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে অনুরোধ করেন। দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ককে আরো মজবুত ও গভীর করতে তিনি তাসখন্দ ও ঢাকার শহরের মধ্যে ‘সিস্টার সিটি’ বিষয়ক একটি সহযোগিতা স্মারক করার ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তাসখন্দের গভর্নর শাভকত উমরাজাকভ ‘সিস্টার সিটি’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। শহিদ মিনার স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যাপারে তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন। ব্যবসায়িক, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সহযোগিতাকে আরো গতিশীল করতে তিনি রাষ্ট্রদূতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বিনিময়ের কথা গুরুত্বসহকারে ব্যক্ত করেন।