প্রধান মেনু

তামাক নিরুৎসাহিত করতে সরবরাহ কমানোর নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

তামাক ব্যবহার ও ধূমপান ত্যাগ করার লক্ষ্যে তথ্য বাতায়ন ‘কুইট লাইন’ দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বেচ্ছায় ধূমপান বা তামাক ত্যাগকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য ‘কুইট লাইন’ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি দেশে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যকে নিরুৎসাহিত করতে সমন্বিতভাবে চাহিদা ও সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘তামাকের ওপর আরোপিত সারচার্জ ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসানসহ স্বাস্থ্য, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, কৃষি,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ এবং ২০১৯ -২৩ সাল মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার খসড়া ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, তামাক ও ধূমপান অনেক অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিজনিত রোগসহ নানাবিধ রোগ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে জটিল রূপ নেয়। সরকার অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে যে সব কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে সেগুলোকে সফল করতে হলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমানোর ওপর জোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এক্ষেত্রে তিনি ধূমপান ও তামাক বিরোধী প্রচার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সচিবালয়কে সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত করতে এর অভ্যন্তরে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য বিক্রয় বন্ধের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তামাকের ওপর আরোপিত সারচার্জ থেকে কিছু অংশ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত গরীব রোগীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যয় করা যায় কি না তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে কার্যকরি উপায় বের করার জন্য কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়নে স্টেক হোল্ডারদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

এই আইনের কঠোর প্রয়োগে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হলে এগুলোর ওপর উচ্চ কর ধার্য করতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমে তামাকের ক্ষতিকর দিকসমূহের প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সভায় স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ও অন্যান্য উৎস হতে আহরিত অর্থ খাতওয়ারী বিভাজন অনুমোদন করা হয়।