প্রধান মেনু

তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবনীকে কাজে লাগিয়ে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে — আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনীকে কাজে লাগিয়ে দেশে একটি ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ইনোভেটিভ আইডিয়া ও আইটি বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প’ এর কার্যালয়ে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ ২য় পর্বের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার।

বিশ্বের অনেক দেশেই এই তারুণ্যের সংকট হচ্ছে। কিন্তু শুধু চাকরি দিয়ে বিপুল সংখ্যক এই তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান যোগানো যাবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার চলতি বাজেটে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এছাড়া আইডিয়া প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আইডিয়া প্রকল্প থেকে একজন উদ্যোক্তাকে সিড স্ট্রেজে ১০ লাখ এবং গ্রোথ স্ট্রেজে ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন ও আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক এবং সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর সহযোগী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ।

উল্লেখ্য, স্টার্টআপদের পাঠানো আইডিয়াগুলো থেকে নির্বাচন করা হবে ৩০টি স্টার্টআপ। এদের মধ্য থেকে ২০টি স্টার্টআপকে রানারআপ এবং ১০টি স্টার্টআপকে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ী স্টার্টআপদের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ফান্ডিং দেওয়ার পাশাপাশি মেন্টরিংসহ নানাভাবে সহযোগিতা করা হবে। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য ভিজিট করতে হবে www.startupbangladesh.gov.bd. পরে প্রতিমন্ত্রী ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ এর ২য় অধ্যায় উদ্বোধন করেন।