প্রধান মেনু

ডেঙ্গু মোকাবিলায় পরামর্শ

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) : ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থেকে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদফতর পরামর্শ দিয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে তারা আহ্বান জানিয়েছে।

ডেঙ্গুর লক্ষণ :      

শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি হওয়ার পাশাপাশি নিম্নের ২টি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু সন্দেহে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • তীব্র মাথা ব্যথা; • চোখের পেছনে ব্যথা; • শরীরের পেশি ও জয়েন্টসমূহে ব্যথা;
  • বার বার বমি করার প্রবণতা; • নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া;• শরীরে র‌্যাশ ওঠা।
  • তীব্র ডেঙ্গুর লক্ষণ (ডেঙ্গু হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিন পর হতে পারে) :
  • শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া; তীব্র পেট ব্যথা;
  • ক্রমাগত বমি করা; বমির সাথে রক্ত যাওয়া; ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া;
  • শরীরে অবসাদ বোধ করা; অস্থিরতা বোধ করা;
  • ব্যক্তিগত সতর্কতা :
  • ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে;
  • মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে;
  • কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি :
  • পরিবার, প্রতিবেশী এবং কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে;
  • পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সকলকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে;

মশার প্রজনন রোধে নিয়মিত পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার তদারকি প্রয়োজন। এসময় অবশ্যই নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে :

 

  • ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিনদিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে।
  • ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিস্কার করতে হবে।
  • মনে রাখতে হবে ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।
  • পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে।
  • দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  • ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।