ডিসেম্বরের মধ্যেই টীকাদানের লক্ষ্যমাত্রার অন্তত পঞ্চাশ ভাগ পূরণ করা সম্ভব হবে–স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৪ কার্তিক (২০ অক্টোবর) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যখাত ইতোমধ্যেই প্রায় ৬ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছে এবং সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে ভ্যাকসিন চলে আসছে এতে করে এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার অন্তত পঞ্চাশ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংগঠন ইউএইচএফপিও আয়োজিত দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময়ে দেশে নানা উৎস থেকে দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে জানান, ‘বাংলাদেশ নিজে এই মূহুর্তে কোনো ভ্যাকসিন উৎপাদন না করলেও দেশে এখন পৃথিবীর উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ভ্যাকসিনই চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক মহলে সম্পর্কের কারণে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলেন দেশের সব মানুষকে তিনি ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবেন। তিনি তার কথা অনুযায়ীই আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরাও প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।’
দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদেরকেও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে দেশের সব মানুষই ভ্যাকসিন পাবে বলে জানান মন্ত্রী। এখন থেকে প্রতি মাসে দেশে অন্তত ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন চুক্তি অনুযায়ীই চলে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী আরো ভ্যাকসিন আসা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনও চলে আসছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজার, মডার্না ও এস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিনও দেশে আসছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করীম এমপি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিএমএ এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ’র মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ। সভায় মূল প্রতিপাদ্য পাঠ করেন ইউএইচএফপিও এর আহ্বায়ক ডা. মোবারক হোসেন।