প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ জানুয়ারি ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“আগামী ১৬-১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। সম্প্রতি আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ৫-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি, যা জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। অচিরেই দেশে ৫-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।

ইতোমধ্যে আমরা ব্যবহার করতে শুরু করেছি বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সেবা। ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রায় সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় ‘জেলা তথ্য বাতায়ন’ এবং সারাদেশে ৫ হাজার ৮৬৫ ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৮ হাজার ৫০০টি ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে। এসকল উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা। আমি আশা করি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০’ এর মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের জনগণ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরো অবহিত হবেন এবং সারা বিশ্বের সাথে তাল রেখে সমমানের ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করবেন। আমি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”