‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ এর কর্মসূচি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগামী ৫ বছরে ১০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে — আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতমিন্ত্রী জুনাইদ আহমদে পলক বলছেনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনি ইশতেহারে ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর পালন করা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ উদ্্যাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির ঘোষণা দিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ কল সেন্টার এসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ঘোষণার পর দেশে বিগত ১১ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লক্ষাধিক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আইটি খাতের সম্প্রসারণের জন্য আগামী ৫ বছরে দেশে আরো ১০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আগামী ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার যথাযথ মর্যাদায় জেলা-উপজেলা-সহ দেশব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উদ্যাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে ঐদিন সকাল ৭টায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা হতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
র্যালিটি খামারবাড়ী হয়ে আবার দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বেলা ৩টায় বসুন্ধরাস্থ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে মনোমুগ্ধকর কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলা, উপজেলায় র্যালি, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ভর সেমিনার, আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আমার দেখা ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর প্রেজেন্টেশন তৈরি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে দিবসটি যথাযথ উদ্যাপিত হবে।