প্রধান মেনু

ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুদের অন্তর্ভুক্তি অপরিহার্য —- মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের বৈপ্লবিক রূপান্তরের ফলে আগামী দিনের বিস্ময়কর পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশে ডিজিটাল জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এই লক্ষ্যে শহরের সীমা ছাড়িয়ে তৃণমুলসহ সমগ্র দেশের নতুন প্রজন্মকে  ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই। ডিজিটাল ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ রূপান্তরের প্রধানতম কৌশল হতে হবে  দেশের মানবসম্পদকে সবার আগে ডিজিটাল রূপান্তর করা।

মন্ত্রী গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় সফটওয়্যার ও নেটিজেন আইটি আয়োজিত শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর সম্মেলন ২০১৯ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।  নেটিজেন আইটি’র প্রেসিডেন্ট আসিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজয় ডিজিটাল সফটওয়্যারের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীতা তুলে ধরে বলেন, আমাদের সামনে যাওয়ার বড় শক্তির নাম জনশক্তি। আমরা প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়কে চলার উপযোগী ডিভাইস তৈরি করার সেই মানুষটি তৈরি করতে হবে। এই লক্ষে নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে গড়ে  তোলা অপরিহার্য। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে শিশুদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ২০২০ সালে শিশুদের জন্য রোবটিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী  শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তরে গৃহীত উদ্যোগে উল্লেখ করে বলেন, আমরা একটা রূপান্তরের মধ্যে বসবাস করছি। আমরা এখন যে রূপান্তরটা দেখছি, তা গত দশ বছরের রূপান্তর। এই রূপান্তরটা সামনের দশ বছরে হাজার গুণ  বেশী পরিবর্তন হবে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইভ জি প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে মাছের খামার কিংবা ধানক্ষেতে আইওটি ডিভাইস বসবে। কারখানায় রোবট স্বাগত জানাবে।