ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশা চালককে বিনামূল্যে ছাতা ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হবে—-ডিএনসিসি মেয়র

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) ː ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশা চালককে বিনামূল্যে ১টি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি হাফ লিটার পানির কন্টেইনার দেওয়া হবে। মেয়র বলেন, তীব্র দাবদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।
ছাতা বিতরণ কার্যক্রমটি দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ফিলিস্তিনের উপ রাষ্ট্রদূত।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ছাতাটা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটা এডজাস্টেবল। ছাতার উচ্চতা
কমানো-বাড়ানো যাবে। প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির কন্টেইনার দেওয়া হচ্ছে যাতে স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারে।
এই বিষয়টি চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে করা হয়েছে বলে জানান মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলমান থাকবে। পার্কগুলোতেও পানির স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি বেশ ব্যয় বহুল। মেয়র বলেন, এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চাইলে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি এগিয়ে আসতে পারেন।
মেয়র আরো বলেন, পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষদের পানি পান করানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলি গলিতে প্রবেশ করতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, গতবছর ৮০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এই বছর আরো ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানো হবে। আমাদের আগে গাছের পরিচর্যার জন্য মালি ছিল না। বর্তমানে ৪৭ জন মালি, ৩ জন সুপারভাইজার নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মালি নিয়োগ হয়ে গেলে পরিচর্যা জোরদার করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীও যাতে যার যার বাড়ি বা দোকানের সামনের গাছগুলোর পরিচর্যা করেন তার আহ্বান জানান মেয়র আতিক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ।