প্রধান মেনু

ডা. শামসুল আলম খান মিলন এর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রধানমন্ত্রীর বাণী: ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. শামসুল আলম খান মিলন এর মৃত্যুবার্ষিকী : “৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন- এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ডা. মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ-সহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ।

ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁদের অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি ‘৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল শহিদকে স্মরণ করছি এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”

 রাষ্ট্রপতির বাণী : ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “আজ ২৭ নভেম্বর। শহিদ ডাঃ মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা শহিদ ডাঃ সামসুল আলম খান মিলন ঘাতকদের গুলিতে শাহাদাৎ বরণ করেন। আমি শহিদ ডাঃ মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডাঃ মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে।

শহিদ ডাঃ মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে। নতুন প্রজন্ম ডাঃ মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি শহিদ ডাঃ সামসুল আলম খান মিলন এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”