ডাকটিকেট শতাব্দীর পর শতাব্দী সকল ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে– ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) : বাংলাদেশের ডাকটিকেট প্রকাশের সুবর্ণজয়ন্তী আজ। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রথম ৮টি ডাকটিকেট মুজিবনগর সরকার প্রকাশ করে। মুজিব নগর সরকার প্রকাশিত এই ডাকটিকেট মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অংশ। এই উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে এবং ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের প্রথম ডাক টিকেট প্রকাশের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের বিজয়ের একটি হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও দেশের জনগণের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডাকবিভাগের কর্মীদের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করেন ও দেশের সকল শহীদের পাশাপাশি ডাক বিভাগের শহীদ কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মন্ত্রী বলেন, ডাকটিকেট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কথা বলে। তিনি বলেন, একটি ডাকটিকেট শতাব্দীর পর শতাব্দীর ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের প্রতিটি দিনই জাতির ত্যাগের ইতিহাসের অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবগুলো ঘটনা নিয়ে হয়তো ডাকটিকেট প্রকাশ করতে না পারলেও প্রতিটি ঘটনার প্রতিনিধিত্বমূলক একেকটি বিষয় নিয়ে সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ডাক টিকেট প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একই প্রয়াস মুবিজবর্ষেও নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে এক একটি ডাকটিকেট একেকটি মহাকাব্য হতে পারে। মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে স্মারক ডাক সংগ্রাহক হিসেবে উদ্বুদ্ধ করতে ফিলাটেলিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। দেশের সকল পোস্ট অফিসে যাতে স্মারক ডাকটিকেট সংগ্রহ করা যায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রী ডাক অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন এবং বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশের ডাকটিকেট প্রকাশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডেটা কার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রী অনুষ্ঠানে ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডেটাকার্ড প্রকাশ করেন। এই সময় বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।