টোকিওতে বিজয় দিবস উদ্যাপিত

টোকিও (জাপান), ১৬ ডিসেম্বর : টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস ২০২০ উদ্যাপন করেছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ এবং জাপান সরকার এর জারীকৃত বিভিন্ন দিক নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূতাবাস এবছর অনলাইনে বিজয় দিবসের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনলাইনের এই অনুষ্ঠানে জাপানি ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিসহ শতাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর মা-বোনদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত এবং আমাদের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অনেক উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ যখন ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান। তিনি জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে টোকিও সেক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাসাকি ওহাসি দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে আরো উন্নত ও আধুনিক। তিনি বলেন নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতির গর্বের সোনালী ইতিহাস বারবার তুলে ধরতে হবে।
পরে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাপান প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।