নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ইন্টারন্যাশনাল (বিডিএফআই) সংগঠনটির আন্তর্জাতিক কো অর্ডিনেটর সম্পাদক জনাব এম জহিরুল আলম জানান, ভোলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্যই বিডিএফআই‘র সৃষ্টি। পূর্বের নদীভাঙ্গন সমস্যা, ঢাকা-ভোলা দিবা সার্ভিস সমস্যা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সাফল্যের সাথে সংগঠনটি কাজ করেছে। ঐ কাজে সহায়তা দিয়েছেন ভোলার উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাগণ এবং কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যা হল করোনা সমস্যা। এ মহা সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে সমগ্র পৃথিবীর চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন বলতে গেলে ভঙ্গুর। আমাদের ভোলাও তার বাইরে নয়।

ভোলার চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলনামূলক অনেক পিছিয়ে এমনিতেই। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে এক করোনা নিয়ে ভাবতে গিয়ে সাধারণ চিকিৎসা সেবা এখন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশের মানুষ অসচেতন হওয়ায় করোনার লক্ষণ গোপন করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ব্যপকহারে চিকিৎসকগণ যাদেরকে আমরা সময়ের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা আখ্যায়িত করেছি তাঁরা আক্রান্ত হওয়ায় এখন সামনাসামনি চিকিৎসা নেওয়া বা দেওয়া বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনেকটা দুশ্প্রাপ্যও বটে।

এরুপ সংকটময় মুহূর্তে আমাদের ভোলার চিকিৎসক মহোদয়গণের কয়েকজনের কাছে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হলে তাঁরা সানন্দে সম্মত হয়ে প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানান।তিনি আর জানান, ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে ভোলার চিকিৎসক মহোদয়গণের মধ্যে যাঁরা টেলিমেডিসিন চিকিৎসা আমাদের ভোলাবাসীর জন্য দিতে সদয় সম্মতি প্রকাশ করেছেন তাঁদের তালিকা ।

 ১) অধ্যাপক ডা. নুরনবী চোধূরী, ডায়াবেটিক স্পেশালিস্ট, বারডেম, ঢাকা। ২) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইউরোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৩) অধ্যাপক ডা. নুরে আলম সিদ্দিকী, বক্ষব্যাধী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা। ৪) ডা. মোঃ তানভির রহমান, জেনারেল প্রাক্টিশনার, এফসিপিএস জেনারেল সার্জারী(শেষ পর্ব) ও এমএস ইউরোলজী, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৫) ডা. মফিজুর রহমান জুম্মাহ, শিশু ম্যাডিসিন পিজিটি ট্রেইনি, ৬) ডা.সায়মা রহমান খান, সহকারী রেজিস্ট্রার, গাইনি, মাতৃ ও শিশু ইনস্টিটিউট, ঢাকা ৭) ডা. রাবেয়া শারমিন শিম্পা, চর্স ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল। ৮) ডা. মোহাম্মদ ইনতিয়াজ বেলাল জিসান, মেডিক্যাল অফিসার, ইএনটি(পার্ট টু)।