প্রধান মেনু

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন

টঙ্গী থেকে মোঃ শাহজালাল দেওয়ান ঃ টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাতের প্রথম পর্ব বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার শুরু হবে, ৫৩ তম বিশ্ব ইজতেমার দুইপর্ব সফল করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে । বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি’র কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমায় দেশী-বিদেশী মুসল্লীদের স্বাগত জানিয়ে ১৩টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করার লক্ষ্যে র‌্যাবের জন্য ৯টি ও পুলিশের জন্য ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের ওজু, গোসল, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের জন্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ঘন্টায় ৩কোটি ৫৪লাখ গ্যালন সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। চাহিতা মতাবেক ১০০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবারাহ করা হয়েছে। ইজতেমা চলাকালে প্রতিদিন ২১টি গার্বেজ ট্রাকের মাধ্যমে দিন-রাত বর্জ্য অপরাসণ কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা দােিয়ত্বে নিয়োজিত সদস্যদেও জন্য ১৫৪টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। আগত বিদেশী মেহমানের রান্না কজের জন্য ১৩৬ গ্রাসের চুলা স্থাপন করা হয়েছে।

যাহা সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। ইজতেমা ময়দানে ২৬টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা- চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, রাস্তার উপর পার্কিং করা গাড়ি সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টঙ্গী ব্রীজ ও কামার পাড়া ব্রীজর নীচে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বাঁশ দ্বারা ২টি নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইজতেমা উপলক্ষে ১২জানুয়ারি থেকে ২১জানুয়ারি পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসক সেবা প্রধানের জন্য সিটি কক্ট্রোরোমের সামনে ৪৫টি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২৫জন সেনেটারি ইন্সপেক্টর ইজতেমা ময়দানে দায়িত্ব পালন করবেন।

১৪টি এম্বুলেন্স ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লীদের সেবায় নিয়জিত থাকবে। গাজীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইজতেমার প্রথম পর্বে ইজতেমা ও এর আশাপাশের এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ৬হাজার পুলিশ সদস্য এবং দ্বিতীয় পর্বেও ৬হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমা ময়দানে প্রধান একটি কন্ট্রোল রুম এবং আরোও ৫টি সাব-কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ইজতেমা ময়দানে ৭হাজার ৫’শ পুলিশ সদস্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইজতেমা ময়দানে ৮’শ সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে নৌ ও সড়কপথে ৫টি মোবাইল টিম
স্বার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইজতেমা ময়দানে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা উপস্থিত থাকবে। ৫৩ তম বিশ্ব ইজতেমা ২০১৮ এর দুই পর্বের প্রথম পর্ব শুরু হবে ১২জানুয়ারি এবং আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ১৪জানুয়ারি। মাঝখানে ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৯জানুয়ারি এবং আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ২১জানুয়ারি। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি মুসল্লীদের জন্য স্থান(খিত্তা)নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রথম পর্বে ২৭টি খিত্তা এবং দ্বিতীয় পর্বে ২৯টি খিত্তা স্থাপন করা হবে। প্রথম পর্বে দেশের ৩২টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ অংশ গ্রহণ করবেন।



« (পূর্বের খবর)