প্রধান মেনু

টঙ্গীর খরতৈল এলাকায় শিশুসহ গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম ও বাড়িঘর ভাংচুর

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ টঙ্গীর গাজীপুরা খরতৈল এলাকায় ২ মাসের শিশুসহ এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঐ গৃহবধুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার বিবরণ জানা যায় মোঃ আলমগীর হোসেন (৫৫) গাজীপুরের টঙ্গীর খরতৈল কাই এলুমনিয়ামের পিছনে তার নিজ বসত বাড়িটি ২৬ বছর পূর্বে বিলকিছ খার নিকট থেকে ক্রয় জন্য তাকে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করে, পরবর্তিতে গত ২০০৯ সালে জমির দলিল করার জন্য আরও ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে ।

কিন্তুু বিলকিছ খা উক্ত বাড়ির দলিল আজ না কাল দিচ্ছি দিচ্ছি বলে দলিল না দিয়ে মোঃ আলমগীর হোসেন কে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬.১০.২০১৯ইং তারিখ সকাল ১১ ঘটিকার সময় বিলকিছ খা সন্ত্রাসী বাহিনি রাসেল মিয়া, মৌসুমি, কাউছার অজ্ঞাত নামা নিয়ে আলমগীরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য তার বাসায় প্রবেশ করে, খালি বাসায় আলমগীরের ছেলের বউ মাসুমা বেগম কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এত মাছুমা বেগম বাধা দিলে তার কোলে থাকা ২ মাসের শিশু সন্ত্রানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সন্ত্রাসী লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পিঠে কোমড়ে তাহার শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে আঘাত করে তাকে ঘর থেকে বাহির করে ভয় ভিতি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে পুরো বাড়ি ঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়।

সন্ত্রাসীরা তাদের ঘরে থাকা সুকেসের ভিতর থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা ,২ ভরি স্বর্ণালংকার যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা, ঘরের ভিতরে থাকা টিভি ,ফ্যান ,খাট নিয় যায় এবং আসবার পত্র ভাংচুর করে যার আনুমানিক খতি ১৫ লক্ষ টাকা । এ ঘটনার খবর পেয়ে আলমগীরের ছেলে সোহাল, মেয়ে রুজিনা, নাসিমা আহত মাসুমা বেগম কে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লা মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে মোঃ আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ টঙ্গীর পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩১ তারিখে ২৯.১০.২০১৯ ইং ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/২৮০/৮২৭/৫০৬ যাহা পেনাল কোডে রুজু করা হয়ে হয়েছে এবং পুলিশ উক্ত মামলার ৫ জন আসামি কে আটক করেছে। বর্তমানে আলমগীর হোসেন তার ঘরবাড়ি হাড়িয়ে সন্ত্রাসীদের ভয়ে মানবেতর জীবর যাপন করছেন।