প্রধান মেনু

টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

মোঃ শাহজালাল দেওয়ান, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুর মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা ভাওয়াল বীর, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ ই নভেম্বর টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের হায়দরাবাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও সকাল থেকে কোরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়াও টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সকাল থেকে কোরআনখানি দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কেক কাটার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে। দুপুর ২টায় টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মী হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সন্ধা ৬ টায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মরণে আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার এম পির ৬৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে টঙ্গী ৪৫ নং ওয়ার্ড লিলি ফুডের মোড়ে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘের উদ্যোগে কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘের প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতি,উপদেষ্ঠা টঙ্গী থানা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক রহুল আমিন মনি সরকার, টঙ্গী থানা যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘের সভাপতি সেহজাদ সোহাগ,সিনিয়র সহসভাপতি বাবু আহম্মেদ, সহ সভাপতি জসিমউদ্দিন পলাশ, সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাসান আহম্মেদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৫০ সালের ৯ই নভেম্বর গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালের ৭ মে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন সময় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে শহীদ হয়েছিলেন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ অভিযোগ পত্র দায়ের করে। ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।