প্রধান মেনু

ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অবিস্মরণীয় অর্জন করায় আনান্দ খবরে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসায় শনিবার সকালে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাকাশের পথে পাড়ি জমাল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। শুক্রবার (১১ মে) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা  ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কেপ কেনেডি সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে মহাকাশের পথে উড়াল দেয় বঙ্গবন্ধু-১। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দিয়ে অবস্মরণীয় এক অর্জন হলো বাংলাদেশের।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বড় আনন্দের খবরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল(এম.এ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত   ছিলেন, মো: সরোয়ার হোসেন উপাধ্যক্ষ,মো: হামিদুররহমান সহকারী অধ্যাপক,মো: মোবারক হোসেন সহকারীঅধ্যাপক,মো: রবিউল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, আন্জুমানআরা প্রভাষক (ইস: ইতিহাস),খন্দকারফারুকআহমেদ প্রভাষক (ইংরেজী),মো: নূরুল ইসলাম প্রভাষক (বাংলা),মো: নাজমুল হাসান প্রভাষক (আরবী),মো: রইচ উদ্দিন সহকারী শিক্ষক (গণিত),মোছা: আয়েশা খাতুন সহকারী শিক্ষিকা,ইউরেনা আক্তার সহকারী শিক্ষিকা, (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন এ,টি,এম,মোয়াজ্জাজ হুসাইন,(লাইব্রেরীয়ান), মো: দেলওয়ার হুসাইন সহকারীমৌলভী,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সহকারী মৌলভী,মো: তৈয়েব আলী সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা),সামসুনাহার সহকারী মৌলভী,পারভীনা খাতুন সহকারী শিক্ষিকা(বিজ্ঞান),পলীখাতুন সহকারী শিক্ষিকা(সামাজিকবিজ্ঞান),সঞ্চিতাসেন সহকারী শিক্ষিকা (কৃষিশক্ষা),মো: ইলিয়াছ হোসাইন ক্বারীশিক্ষক,মো: রেজাউল করিম জুনিয়ার মৌলভী ও সুমাইয়া জুনিয়ার শিক্ষিকা প্রমুখ। বহু আগেই বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলের স্বীকৃতি পেয়েছে।

এবার মহাকাশেও লাল সবুজের গৌরবগাথা দেখল বিশ্ব। ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠালো বাংলাদেশ। শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হলেও প্রথমে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর তা উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ স্যাটেলাইটের কারণে তিন ধরনের সেবা ও ৪০ ধরনের সুফল পাবে দেশবাসী। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। অন্যগুলো ভাড়া দেওয়া হবে।

স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হয়েছে গাজীপুর ও রাঙ্গামাটিতে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্পেস কমিউনিকেশনের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।১৫ বছরের চুক্তিটি করা হলেও তিন ধাপে তা ৪৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এই প্রকল্পে সরকারের যে টাকা খরচ হবে তা স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে ৮ বছরে তুলে এনে এই প্রকল্পকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। স্যাটেলাইটটির মাধ্যমে বছরে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।

নিজস্ব স্যাটেলাইট না থাকায় এখন অন্য দেশের স্যাটেলাইট ভাড়া করে প্রয়োাজন মেটাতে হচ্ছিল বাংলাদেশকে।অন্যদিকে দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট ভাড়া করে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে আসছে। নিজস্ব স্যাটেলাইট হলে ভাড়ার টাকা আর বিদেশে পাঠাতে হবে না। ওই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ডলার। এই পরিমাণ অর্থ সরকার প্রতি বছর রাজস্ব হিসেবে আয় করতে পারবে।